ডিজিটের সব সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কঞ্জিউমার পোলে 10,000+ য়ের মধ্যে 70% ই চিনা স্মার্টফোন কিনতে চায় না এর কারন চিনের, জইশ-ই- মহম্মদ চিফ আজহার মাসুদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
ডিজিটের 3.5mm+ সাবস্ক্রাইবারের কাছে একটি প্রশ্ন করা হয় – “Jem চিফ মাসুদ আজহারকে ব্ল্যাক লিস্ট করার বিষয়ে চিনের সিদ্ধান্তের পরে কি চিনা ব্র্যান্ড কেনার বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়?”
ফেসবুক, টুইটার আর ইন্সটাগ্রামের পোল থেকে 10,000 ভোটার ডিজিটের সব সোশাল মিডিয়া পেজে ভোটদেয়, এর মধ্যে ভার্নাকুলার পেজ গুলি হিন্দি, বাংলা, তেলেগু, কানাড়া, মালায়ালম আর তামিলও আছে। আর এর মধ্যে একটি বড় সংখ্যক মানুষ সমস্ত সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে চিনা স্মার্টফোন না কেনাতে ভোট দেয়, আর 30 শতাংশ মানুষ বলেন যে তারা চিনা ফোন নষ্ট করবে না আর চিনা জিনিস কিনবে।
যখন এই ভোটে পরিষ্কার ভাবে চিনা স্মার্টফোন অ্যাভয়েড করতে চেয়েছে, আর ঐ পোলে অনেক ইন্টারেস্টিং মতামতও দেখা গেছে। বেশিরভাগই কমেন্ট করে বাজারে অন্য কোন বিক্লপ নেই। আমাদের অনেক অডিয়েন্স এও জানান যে ভারতের তৈরি করার আর ম্যানুফ্যাকচার করা স্মার্টফোন তেমন না হওয়ায় চিনের ফোন কিনতে হয়।
উত্তর প্রদেশের একজন প্রতিযোগী বলেন “আমাদের কাছাকাছি থাকা 10 টির মধ্যে 5টি প্রোডাক্টই চিবনের তৈরি... এই সব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এত গভীর ভাবে ইনভল্বড যে আমরা চাইলেও তা বয়কট করতে পারব না..শুধু যে স্মার্টফোন তা নয় সব কিছুই...একবার চারিদিকে তাকিয়ে দেখুন...”
অন্য আর একজন প্রতিযোগী বলেন “বাস্তবে চিন, হল বিশ্বের ইলেক্ট্রনিক রাজধানী। এমনি কি অ্যাপেলও চিনে ম্যানুফ্যাকচার হয়...আপনি চিনা প্রোডাক্ট বয়কট করতে পারবেন না। আমরা যদি স্মার্টফোনের বিষয়ে বলি তবে, Xiaomi আর Honor মিড রেঞ্জের বেশির ভাগ শেয়ার নিজেদের কাছে রেখেছে। মানুষ এ গুলি কেনে কারন নিজেদের সেগমেন্টে তারা সেরা আমরা ক্রেতা হিসাবে সেরা ভ্যালু ফর মানি পাই।”
চিনের স্মার্টফোনের ভারতের ভাল ভাবে টিকে থাকার কারন কঞ্জিউমারআদের মতামত থেকে বোঝা যায়। এটা সত্যি যে OnePlus, Xiaomi, Huawei, Oppo আর Vivo সহ চিনের স্মার্টফোন ভেন্ডাররা ভারতের প্রায় 60 শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিজেদের কাছে রেখেছে আর এও ডিজিটের ফেসবুক অডিয়েন্স কমেন্টে বলেছে।
একজন পুনের প্রতিযোগী কমেন্ট করেছেন, “সব চিনের প্রোডাক্ট ব্যান করার আগে, আমরা কি একই রকমের প্রোডাক্ট তৈরি করতে সক্ষম ? এই সময়ে আমাদের প্রায় সব ইলেক্ট্রনিক গুড চিনে তৈরি বা চিনে অ্যাসেম্বেল করা হয়। টেররিজান সাপোর্ট করার জন্য চিনা প্রোডাক্ট ব্যান করার থেকে আমরা এই সব প্রোডাক্টের সঠিক রিপ্লেসমেন্ট পাব না এটি একটি ইমোশানাল রিয়্যাকশান। চিনের ইকোনমিকে নষ্ট করার আইডিয়া আসলে আমাদের কলোনিয়াল এরা বা বেস্ক শিক্ষার সিস্টেম ও আরও অনেক কিছু যা ব্যাকডেটেড তার কোন পরিবর্তন করবে না।”
আর অনেক কঞ্জিউমার আর প্রতিযোগী আমাদের পোলে বলেছেন যে চিনা স্মার্টফোন সহ চিনা ইলেক্ট্রনিক জিনিস না কেনা বা অস্বীকার করা অসম্ভব, অনেকেই বলেছেন যে চিনা ছাড়া অন্য স্মার্টফোনে ভ্যালু ফর মানি পাওয়া মুস্কিল। আর এখানে অনেকেই এমন আছেন যারা মেড ইন ইন্ডিয়া চিনা ফোন কেনেন যেমন- Xiaomi, OnePlus ও আরও অনেক যা এই সময়ে আমাদের দেশের স্মার্টফোনের বাজারে পাওয়া যায়।
